স্বেচ্ছাসেবকদের ধর্মঘট: টিকা নিতে হুড়োহুড়ি, বিশৃঙ্খলা

স্বেচ্ছাসেবকদের ধর্মঘট: টিকা নিতে হুড়োহুড়ি, বিশৃঙ্খলা

টিকা নিতে আসা ব্যক্তিরা দুর্ব্যবহার করেন—এমন অভিযোগ তুলে আজ মঙ্গলবার থেকে ধর্মঘট পালন করছেন বাগেরহাটের একটি টিকাকেন্দ্রে দায়িত্বরত রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকেরা। এদিন টিকা নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সারি তদারকির কেউ না থাকায় দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালে করোনার টিকাদানকেন্দ্রে সারিতে হুড়োহুড়ির কারণে দুপুর পৌনে ১২টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এই কেন্দ্রে প্রতিদিন বেলা ১টা পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম চলে। আজ সারিতে হুড়োহুড়ির কারণে অনেকেই টিকা না নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।

হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অবস্থান করতে দেখা যায় রেড ক্রিসেন্টের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবককে। তাঁরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা অভিভাবক ও শিক্ষক পরিচয় দেওয়া কিছু ব্যক্তি তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। আগের দিনগুলোতে তাঁদের গালাগাল, এমনকি মারতে উদ্যত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া টিকাদানকেন্দ্রে বাড়তি সুবিধা না দেওয়ায় কিছু প্রভাবশালীও তাঁদের গালাগাল করেন। এর প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে স্বেচ্ছাসেবকেরা কেন্দ্রের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

আজ সকালে শহরের সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ছাড়াও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা এই কেন্দ্রে টিকা নিতে এসেছিল। তবে বিশৃঙ্খলা আর অব্যবস্থাপনায় টিকা না নিতে পেরে ফিরে যায় অনেকেই। শিক্ষার্থী ছাড়াও সদর উপজেলার সাধারণ নিবন্ধনকারীরা টিকা নিতে আসেন সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে। হুড়োহুড়ি আর বিশৃঙ্খল পরিবেশে টিকা পাননি তাঁরাও। নির্ধারিত তারিখে দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসা ব্যক্তিদেরও কেউ কেউ ফিরে গেছেন।

কেন্দ্রে দুই মেয়েকে টিকা দিতে নিয়ে আসা শহরের সরুই এলাকার বাসিন্দা মো. মনিরুজ্জামন বলেন, এটা অব্যবস্থাপনার চরম দৃষ্টান্ত ছাড়া আর কিছু নয়। এখানে কোনো কর্তৃপক্ষ আছে বলে মনে হয়নি। টিকা নিতে এসে হুড়োহুড়িতে মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। টিকাদানকক্ষের বাইরে সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা কান্দাপাড়া এলাকার আয়শা বেগম জানান, তিনি গত শনিবারও দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসে ফিরে গেছেন। আজও কেউ কিছু বলছেন না। কিন্তু টিকা দেওয়ার তারিখ চলে যাচ্ছে।