৩২০০ ফুট ওপরে ওড়া উড়োজাহাজের যাত্রীর গায়ে লাগল গুলি

৩২০০ ফুট ওপরে ওড়া উড়োজাহাজের যাত্রীর গায়ে লাগল গুলি

৩ হাজার ২০০ ফুট ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল উড়োজাহাজটি। নিচ থেকে ছোড়া গুলি গিয়ে লাগল উড়োজাহাজে। এতে আহত হলেন এক যাত্রী। বিমানের খোলস ভেদ করে সেই বুলেট যাত্রীর গায়ে লাগে বলে জানা যায়।

এমন ঘটনা ঘটেছে মিয়ানমারের ন্যাশনাল এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ। বিদ্রোহীরা এ কাজ করেছে বলে অভিযোগ মিয়ানমারের। দেশটির সামরিক সরকার বলছে, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার মিয়ানমারের ন্যাশনাল এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ ৬৩ জন যাত্রী নিয়ে রাজধানী নেপিদো থেকে খায়া রাজ্যের রাজধানীর লোইকাতে যাচ্ছিল। উড়োজাহাজটি নামার আগেই ঘটে যায় বিপত্তি।

নিচ থেকে ছোড়া গুলিতে আহত হন উড়োজাহাজের এক যাত্রী। করা হয়েছে সেই ঘটনার ছবি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একজন যাত্রী সিটে বসে আছেন। তাঁর পাশের আসনে পড়ে আছে রক্তমাখা কিছু কাপড় ও টিস্যু। আহত ব্যক্তি কানের পাশে টিস্যু ধরে বসে আছেন। বুলেট লেগে বিমানের গায়ে ছিদ্র হওয়ার ছবিও অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা হয়েছে।

গুলি লাগার সময় লোইকা থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে ছিল বিমানটি। ওই সময় ৩ হাজার ২৮০ ফুট ওপরে উড়ছিল বিমনাটি। মিয়ানমার সামরিক সরকারের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন গত শনিবার সরকারনিয়ন্ত্রিত গ্লোবাল নিউ লাইটকে বলেছেন, বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে …ক্রুদের প্রচেষ্টায় উড়োজাহাজটি লোইকা বিমানবন্দরে সফলভাবে অবতরণ করেছে। আহত যাত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বেসামরিক বিমান ও যাত্রীদের ওপর হামলা ‘একটি অপরাধমূলক কাজ এবং এটি সামরিক অপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছেন জাও মিন তুন। নিরাপত্তা বাহিনী এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সংস্থা মিয়ানমার নাউ-এর খবরে বলা হয়, উড়োজাহাজে থাকা ব্যক্তির মুখের ডান পাশে গুলির আঘাত লেগেছে। ওই ব্যক্তির বয়স ২৭ বছর। বিমান অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যাত্রীকে আঘাত করার আগে বুলেটটি বিমান ভেদ করে।

মিয়ানমারের সামরিক কাউন্সিল কারেনি ন্যাশনাল প্রগ্রেসিভ পার্টি (কেএনপিপি) এবং পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের বিরুদ্ধে বিমানে গুলি চালানোর অভিযোগ করেছে মিয়ানমার মিলিটারি কাউন্সিল। তবে কেএনপিপি জানিয়েছে, তাদের সংগঠন এ ঘটনায় জড়িত নয়।