বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের মাসে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) দ্বিগুণের কাছাকাছি বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে। এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। হিসাব শাখা থেকে বলা হচ্ছে, তদারকি না থাকায় অতিরিক্ত বিল এসেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় তদারকি করতে একটি কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই মাসে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিল আসে ১০ লাখ ৫ হাজার ২২৮ টাকা। আগস্টে বিলের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫০৪ টাকা। অর্থাৎ জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে অতিরিক্ত ৮ লাখ ৪৩ হাজার ২৭৬ টাকা বেশি খরচ হয়।
অথচ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ২০ জুলাই থেকে সরকারি দপ্তরগুলোয় বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। একই সঙ্গে ২৪ আগস্ট থেকে সকাল আটটা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত অফিস সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু জুলাই ও আগস্ট মাসের বিদ্যুৎ বিল বলছে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালন করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা এখন কে শোনে কার কথার মতো। যে যার মতো দায়িত্ব পালন করে। একই অবস্থা আবাসিক হলগুলোতেও। কোনো জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে নানা খবরদারি চলে। এ কারণেই সরকারি সিদ্ধান্তের সঠিক বাস্তবায়ন হয়নি বলে মনে করেন তিনি।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সরকারি সিদ্ধান্তের পরও অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা আসলে পৃষ্ঠপোষকতার অভাব। আমরা সুপারভাইজ করার জন্য কমিটি করে দিয়েছিলাম। কেউ সুপারভাইজ করেননি। অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মেয়েদের হলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে। তারা নাকি সেখানে কী কী বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করে। এ বিষয়ে আমরা একটি বৈঠক করেছি। ওই বৈঠকের ফল কী, তা পরের মাসের (সেপ্টেম্বর) বিল এলে বোঝা যাবে।’
উপাচার্য মো. দিদার-উল-আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ভাবতে পারিনি, এত বোঝানোর পরও ছাত্রছাত্রীরা হলে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ফেলেছে। তারা সেখানে রান্নাবান্না করে। এর আগে অনেক বৈদ্যুতিক যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অথচ সব কটি আবাসিক হলেই গ্যাসের সরবরাহ আছে। কিন্তু ওরা (ছাত্রছাত্রী) মনে করে, তাতে খরচ বেশি।’