ডেঙ্গু মশা কামড়ালে কী উত্তর দেয়?

ডেঙ্গু মশা কামড়ালে কী উত্তর দেয়?

সাম্প্রতিক মাসে দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উৎসবের প্রকাশ্য বৃদ্ধি নেওয়া হয়েছে, যা জনমনে ব্যাপক আগ্রহ উত্তোলন করেছে। এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে অনেকে ডেঙ্গু এবং এটির জীবাণু বহনকারী এডিস মশা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে। এডিস এজিপ্টি নামে পরিচিত ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশা, যা অধিকাংশ সামান্য স্থানে ফুলে যেতে পারে এবং চুলে সাদা ডোরাকাটা দাগ ধারণ করে। মশা কামড়াতে ক্ষতস্থানটি মোটর দানার আকারের অথবা একটি ছোট অংশ হতে পারে, যা অল্প সময়ে ফুলে যেতে পারে। এডিস মশা কামড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে, যেখানে হাত ও পা ঢেকে রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। তাছাড়া, মশার নিরোধে নেট, ক্রিম, স্প্রে, প্যাচ ব্যবহার করা যেতে পারে।

যদিও প্রাচীনকালে বলা হতো যে এডিস মশা কেবল দিনে কামড়ে, কিন্তু সাময়িকভাবে এর চরিত্র পরিবর্তিত হয়েছে। এখন এডিস মশা দিনে এবং রাতেই কামড়তে পারে, বিশেষ করে রাতে যদি ঘর আলোকিত থাকে। এই মশা দেখতে খুব সহজ, যেহেতু এর মাঝারি আকার থাকে এবং গায়ে-পায়ে সাদা ডোরাকাটা দাগ পায়। যদিও ডেঙ্গু মশা দেখে শনাক্ত করা সম্ভব, তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির দেহ থেকে এডিস মশা এবং ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। সংক্রমিত মশা অন্য সুস্থ ব্যক্তির দেহে চলে যানোর সাথে সাথে ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়ে দিতে পারে।

চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু জ্বর সাধারণভাবে ক্লাসিকাল এবং হেমোরেজিক দুই ধরনে মোকাবিলা করা হয়। ক্লাসিকাল ডেঙ্গু সাধারণভাবে পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে পুর্ণ সুস্থতা লাভ করে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। অন্যদিকে, হেমোরেজিক ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিদের শারীরিক অবস্থা উপেক্ষাকৃত হতে পারে এবং আক্রান্ত অংশে অনেক সময় নিত্য লাগতে পারে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সাবান দিয়ে নিত্য নরম খাবার খাবার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, যা প্লাটিলেট ও রক্তচাপের স্তর উন্নত করতে সাহায্য করে। ডেঙ্গু একটি ছোঁয়াচে ছড়ায়নি, তবে মশার মাধ্যমে প্রসারিত হলে বাধা সৃষ্টি হয় না, তাই সাধারণ সাবান দিয়ে মশা উপস্থাপন থেকে বিরত হতে পারে।